ঢাকা (৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০) : সাতক্ষীরায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাতক্ষীরার আশাশুনিতে এক নিকাহ রেজিস্ট্রারের কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদাদাবির অভিযোগে বৃহষ্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলার বেউলা গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শুক্রবার সকালে তাদের বিরুদ্ধে আশাশুনি থানায় চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন নিকাহ রেজিস্ট্রার আসাদুজ্জামান সরদার।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বকচরা মোল্লাপাড়ার মোন্তাজ মোল্লার ছেলে আব্দুল মান্নান, একই গ্রামের আফছারউদ্দিন সরদারের ছেলে হাফিজুর রহমান, একই উপজেলার আদালতপুর চালতেতলা এলাকার আবুল কাশেম সরদারের ছেলে রবিউল ইসলাম ও সাতক্ষীরা শহরের কুখরালী এলাকার মোকিম হোসেনের ছেলে মোশাররফ হোসেন আব্বাস।
আশাশুনি উপজেলার বেউলা গ্রামের ওসমান গণি সরদারের ছেলে নিকাহ রেজিস্ট্রার আসাদুজ্জামান সরদার জানান, বৃহষ্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে আব্দুল মান্নান, মোশারফ হোসেন আব্বাস, হাফিজুর রহমান ও রবিউল নামের চার ব্যক্তি দুটি মোটরসাইকেলে করে তার বাড়িতে যান। তারা নিজেদেরকে এক একটি নাম না জানা সংবাদপত্র ও অন লাইনের স্টাফ রিপোর্টার পরিচয়ে বাল্য বিবাহ দেওয়ার অভিযোগে তার কাছে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
টাকা না দিলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেওয়া ও পত্রিকায় নিউজ করার হুমকিও দেন তারা। একপর্যায়ে তিনি তাদের বাড়িতে বসিয়ে রেখে জেলা রেজিস্ট্রারকে ফোন দেন। জেলা রেজিস্ট্রার বিষয়টি থানায় জানাতে পরামর্শ দেন।
এদিকে সাংবাদিকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হলে স্থানীয়রা এগিয়ে যান। অবস্থা বেগতিক বুঝে ওই চার জন মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা বাধা দিলে মোটরসাইকেল ফেলে তারা বিল আড় দিয়ে দৌড়ে পালান।
পরে সাতক্ষীরা শহরে ফিরে মোটরসাইকেল ফিরে পেতে সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করার উদ্যোগ নেন। ওই সময় আশাশুনি থানা পুলিশের মোবাইল পেয়ে তারা রাত ৯টার দিকে আবারও বেউলা গ্রামে ওই নিকাহ রেজিস্ট্রারের বাড়িতে যান।
সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে চাঁদা দাবির সত্যতা পেয়ে ওই চারজনকে আটক করে পুলিশ। পরে মামলা হলে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। সেসময় তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল দুটি জব্দ করা হয়।
