নিউজ মিডিয়২৪: অনুসন্ধান রির্পোট : গত শুক্রবার (০৪-সেপ্টেম্বর ) তারিখে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১নং বালিথুবা ইউনিয়নের ঔষধ বাড়ি সংলগ্ন পশ্চিম পাশে সাবেক চেয়ারম্যান স্বপন মিয়াজীর মার্কেটের সামনে সিআইপি বেড়িবাঁধের উপর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এক জীবিত নবজাতশিশু উদ্ধার করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, শুক্রবার রাত ৮টার সময় পাশর্র্^বর্তী খাঁড়খাদিয়া গ্রামের গাজীবাড়ির আহসান গাজী ও কামাল গাজী উল্লেখিত স্থান দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা ও অটোবাইক নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় দেখতে পান স্বপন মিয়াজীর মার্কেটের সামনে পূর্ব পাশে তোয়ালে পেঁচানো কি জানি দেখা যায়। পরে তাদের মনে সন্দেহ জাগলে, তাদের নিজস্ব পরিবহন থামিয়ে সেখানে গিয়ে দেখতে পান একটি ছেলে শিশু এবং শিশুটি জীবিত। পরে তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চেয়ারম্যানের স্মরণাপন্ন হলে গ্রাম পুলিশবাহিনী দিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে কয়েকদিন দেখাশোনার জন্য কামাল গাজীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।
কামাল গাজীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি এবং আহসান গাজী স্বপন মিয়াজীর মার্কেটের সামনে তোয়ালো পেঁচানো শিশুটিকে দেখতে পাই। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যানের স্মরণাপন্ন হলে তিনি শিশুটিকে আমার জিম্মায় রাখেন। কামাল গাজী বলেন, শিশুটিকে এক নজর দেখার জন্যে সকাল থেকে শত শত লোক বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে।
অন্যদিকে ১নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুর রহমান পাটোয়ারী সাথে কথা হলে তিনি বলেন, শিশুটিকে বর্তমানে কামাল গাজীর নিকট রেখেছি। বর্তমানে শিশুটি কামাল গাজির স্ত্রীর দুগ্ধ পান করছেন। সকাল থেকে অদ্যবধি দেশ-বিদেশের কয়েকশ’ লোক এসেছে শিশুটিকে নেয়ার জন্য। কিন্তু আমি অপেক্ষায় আছি শিশুটির প্রকৃত অভিভাবকের ঠিকানায় যোগাযোগ করা যায় কিনা। শিশুটির বয়স আনুমানিক তিন থেকে চারদিন হবে। শিশুটির প্রকৃত অভিভাবক না পেলে একজন ভালো গার্জিয়ান দেখে তার কাছে হস্তান্তর করার চিন্তাভাবনা আছে বলে তিনি জানান।
অপরদিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে, হেফাজতকৃত শিশুটি বর্তমানে সিএনজি, চালিত ড্রাইভার কামাল গাজীর তিনটি সন্তানের পিতা থাকা অবস্থায় উদ্ধারকৃত নবজাত শিশুটি তার উপর হস্তান্তর করে হতদারিদ্র অটোরিক্সা চালক কতটুকু যত্নবান করা সম্বব সেটাই প্রশ্ন এখন জনমনে। তবে প্রায় ষোলদিন পার হওয়ার পরও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন তৎপরতা না থাকায় নবজাত শিশুটি কে বা কাহারা রেখে গেলো বা কেনই বা রেখে গেলো কে তার বাবা,মা এমন বিরল-রহস্যজনক ঘটনা এখন পর্যন্ত উদ্ধঘাটন করতে পারেনি পুলিশ । উদ্ধারকৃত শিশুটি কতদিন কামালগাজীর হেফাজতে থাকবে বা শিশুটির ভবিসৎ কি হবে তা এখন পর্যন্ত নির্ধারন করা হয়নি বলে জানিয়েছেন কামালগাজীর পরিবার । তবে দ্রুত শিশুটিকে পর্যাপ্ত খাবার বা চিকিৎসা সেবা অন্যান্ন সেবা কতটুকু পাবে একজন অটোরিক্সা চালকের কাজ থেকে এমন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে । সরকারে যে কোন মহলহতে সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করেন অনেকেই বা শিশুটিকে বরন পোষনসহ নিরবরযোগ্য প্রতিষ্টান বা দায়িত্ববান কারো উপর হস্তান্তর করলে শিশুটি হয়তো আলোর মুখ দেখবে এমটাই আশা আমাদের সকলের ।