নিউজ মিডিয়া ২৪: ঢাকা : ভারতবিরোধী কর্মকাণ্ডে কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। এ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের দৃঢ় সংকল্পের বিষয়টিও পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি। সেই সঙ্গে বাংলার দূত মানবিক কারণে বাংলাদেশে অস্থায়ী আশ্রয় পাওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আদিনিবাস রাখাইনে দ্রুত ও নিরাপদ প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারকে বোঝাতে ভারতকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। অতীতে নিরাপত্তা ইস্যু ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে বিপর্যস্ত করে তুলেছিলো মন্তব্য করে হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার সেই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটিয়েছে এবং এটি দৃঢ়ভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লির ইনস্টিটিউট অব ডিফেন্স স্টাডিজ অ্যান্ড অ্যানালাইসিসে (আইডিএসএ) ‘ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক সংলাপে হাইকমিশনার এসব কথা বলেন। আইডিএসএ’র মহাপরিচালক জয়ন্ত প্রসাদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক বিশ্বাস ও সহযোগিতা পুনর্বহাল করেছেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মাঝে অত্যন্ত ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন। অভিন্ন নদীগুলোর পানি বণ্টন বিষয়ে পোড় খাওয়া ওই কূটনীতিক বলেন, সহযোগিতার নতুন সুযোগ সৃষ্টিতে বাংলাদেশ তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি সইয়ের দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছে। দু’দেশের মধ্যকার ৫৪টি অভিন্ন নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতা বাড়ানোর তাগিদও দেন হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আরো বলেন, সংকট সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাঁচ দফা সুপারিশ তুলে ধরেছেন। এটি এখনো আলোচনার টেবিলে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেনÑ পুঞ্জীভূত রোহিঙ্গা সংকটের দীর্ঘমেয়াদি সমাধানে মিয়ানমারের ওপর স্থায়ী আন্তর্জাতিক চাপ অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে। সেই লক্ষ্যে তিনি বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
